পেয়ারার পুষ্টিগুণ

পেয়ারার পুষ্টিগুণ

---

পেয়ারা এমন একটি ফল যাতে রয়েছে এক মহা ঔষধি গুন।

১। পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে ( যার পরিমান ১৮০ মিলিগ্রাম) । অন্যান্য সাইট্রাস ফল, যেমন—কমলালেবুর তুলনায় পেয়ারায় ৫ গুণ বেশি ভিটামিন-সি রয়েছে।

২। পেয়ারায় ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স রয়েছে। রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন।

৩। সেইসঙ্গে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড।


তাজা পেয়ারা-

১। রুম টেম্পারেচারে পেয়ারা রাখুন।

২। পাকা পেয়ারা পেপার বা প্লাস্টিক ব্যাগে রেফ্রিজারেটরে স্টোর করলে দু’দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।

৩। পেয়ারার জুস এয়ার টাইট ও ভেপার প্রুফ পাত্রে রাখুন।

৪। পেয়ারার রং হালকা হলুদ হলে ও কড়া গন্ধ থাকলে বুঝবেন, ওটা পাকা পেয়ারা।

৫। পেয়ারা কেনার সময় খেয়াল রাখবেন, পেয়ারার রং যেন সুন্দর থাকে। খুব বড় বা খুব ছোট আকারের পেয়ারার পরিবর্তে মাঝারি আকারের পেয়ারা কিনুন।

৬। পেয়ারার গায়ে যেন কোনো কালো দাগ না থাকে। ওগুলো পেয়ারার পচন শুরুর দাগ। পাকা পেয়ারায় সুন্দর গন্ধ বেরোয়। হাত দিয়ে টিপলে পাকা পেয়ারা সামান্য গর্ত হবে।

পেয়ারার পুষ্টিগুণ

ভিটামিন, মিনারেল (১০০ গ্রাম),

ক্যালরি ৭,

ভিটামিন-এ ২৫০ আই ইউ,

থিয়ামিন ০.০৭ গ্রাম,

নিয়াসিন ১.২ মিলিগ্রাম,

ভিটামিন-সি ৩০২ মিলিগ্রাম,

ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম,

ফসফরাস ২৯ মিলিগ্রাম,

কার্বোহাইড্রেট ১৭.১ গ্রাম,

প্রোটিন ১ গ্রাম।

রোগ উপশমে পেয়ারা

১। হাই ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। অনেক দিন ধরে মেনস্ট্রুয়েসন-এর সমস্যায় পেয়ারা উপকারী।

২। রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে। হার্টের সমস্যায় ভুগলে পেয়ারা খেতে পারেন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও পেয়ারা খেতে পারেন। পেয়ারায় উপস্থিত ভিটামিন-সি সক্রিয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় পেয়ারা।

৩। অ্যাজমা, স্কার্ভি, ওবিসিটি ইত্যাদি অসুখের ক্ষেত্রেও পেয়ারা উপকারী। ডায়াবেটিসতো বটেই, ক্যান্সার এমন কি প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে পেয়ারা। কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবারসমৃদ্ধ পেয়ারা ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৪। পেয়ারা পাতার জুস গ্যাস্ট্রোনটেস্টিনাল সমস্যায় উপকারী। কারণ, পেয়ারা পাতায় রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ ছাড়া পেয়ারা পাতা ওজন কমাতে সাহায্য করে। পেয়ারা পাতার জুস সর্দি-কাশি উপশমে সাহায্য করে। আয়রন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ পেয়ারা কনস্টিপেশন সারাতে উপকারী। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পেয়ারা ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রুখতে সাহায্য করে। একই কারণে অনেক বডি লোশন বা ফেস ক্রিমের উপাদানে পেয়ারা থাকে। বয়সের সঙ্গে জড়িত নানা রোগ, যেমন—অ্যালজাইমার, ছানি, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ পেয়ারা ডিসেন্ট্রি প্রতিরোধ করে।